
ডেস্ক রিপোর্ট:
গাইবান্ধার সাঘাটায় আলোচিত কলেজ ছাত্র সিজু হত্যার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ১২ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় তিন যুবকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুহস্পতিবার (২১আগষ্ট) গাইবান্ধা সাঘাটা আমলী আদালতে বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া কাছে সিজুর মা রিক্তা বেগম ঘটনার ২৮দিন পর এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আল আসাদ ।
মামলার আসামীরা হলেন, সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) (০১) বাদশা আলম, (০২) এএসআই রাকিবুল ইসলাম, (০৩) এসআই মশিউর রহমান, (০৪) এসআই মহসিন আলী, (০৫)পুলিশ সদস্য হামিদুল ইসলাম (০৬) আজাদুল ইসলাম (০৭) নয়ন চন্দ্র, (০৮) জয় চন্দ্র, (০৯) এএসআই আহসান হাবিব (১০) ধর্ম চন্দ্র র্বমন , ( ১১) এসআই উজ্জ্বল (১২) ডিউটি অফিসার এএসআই লিটন মিয়া, স্থাণীয় যুবক ( ১৩) সাব্বির হোসনে, (১৪) ইউসুফ ও (১৫) মমিনুল ইসলাম। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই বিকালে গাইবান্ধা সাব রেজিস্ট্রি অফিস চত্বর থেকে সিজুকে মোবাইল ফোনে সাঘাটা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। এরপর থানায় নির্যাতন করে মৃতপ্রায় সিজুকে থানা সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে পুকুরে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে । পরদনি সকালে ওই পুকুর থেকে সিজুর মরদহে উদ্ধার করা হয়। বাদীপক্ষরে অপর আইনজীবী অ্যাডভোকটে জাহিদ হাসান জানান, বাদী পক্ষের আইনজীবীদরে শুনানী গ্রহণ করে আদালতের বিচারিক পাপড়ী বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে নিদের্শ দিয়েছেন। মামলার বাদী সিজুর মা রিক্তা বেগম জানান, আমার ছে্লেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আদালতে মামলা করেছি ন্যায্য বিচারের জন্য।
সিজুর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম দুলাল মিয়া। তিনি গিদারী ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেল এবং স্থানীয় একটি কলেজে ২য় বর্ষে পড়াশুনা করতেন।
উল্লখ্যে, পুলশিরে ভাষ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জুলাই রাত দশটার দিকে, গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলশিরে সহকারী উপ-পরর্দিশক (এএসআই) মহসির আলীকে ছুরকিাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেয় সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে কচুরিপানা মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই ব্যক্তির মরদহে উদ্ধার করে। এদিকে পরের দিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পুলিশ পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল হলে মুত্যু রহস্য নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পরের দিন গাইবান্ধা পুলিশ সুপাররে কার্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসী। এ প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্তে আগষ্ট প্রথম সপ্তাহে রংপুর বিভাগীয় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধান করে অতরিক্তি পুলশি সুপার ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট রুনা লায়লা এবং গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরফিুল ইসলামকে সদস্য করে তিন জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত টীম ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে সিসিটিভি ফুটেজ ও অর্ধশত স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে। তবে তদন্তের কোন অগ্রগতি না থাকায় ও হত্যা সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না সিজুর মা অবশেষে আদালতে হাজির হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

Reporter Name 












